প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩, ৪:১২ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অগাস্ট ৬, ২০২৩, ১০:০১ এ.এম
মুন্সীগঞ্জে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার হলেও নিখোঁজদের সন্ধান মিলেনি এখনো
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মা নদীতে ৪৬ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে আর কোনো লাশ পাওয়া যায়নি।
রবিবার, ৬ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি একটি ভাসমান ক্রেন টেনে তোলা হয়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ পাঁচজন নিখোঁজের কথা বললেও এখনো নতুন করে কারো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এতে করে নিখোঁজ স্বজনদের মনে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে। দুর্ঘটনার ৮ ঘন্টা পার হলেও এখনো তিন নারীসহ দুই শিশু নিখোঁজ রয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ বিআইডব্লিউটিএ'র উপ-পরিচালক ওবায়দুল করিম খান জানান, বৃষ্টি ও স্রোতে ট্রলারটি উদ্ধার করতে বেগ পেতে হচ্ছিল। স্থানীয়দের সহযোগিতায় নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, বিআইডব্লিউটিএর সদস্যরা ট্রলারটির উদ্ধার কাজ শুরু করে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডুবে যাওয়া স্থান থেকে এয়ার লিফন্টিং ব্যাগ, ক্রেন বোটের সাহায্যে ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রলারটি থেকে কয়েকটি মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে, তবে কারো লাশ পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, স্বজনদের দাবি ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনো পাঁচজন নিখোঁজ। তাদের মধ্যে দু’জন শিশু ও তিনজন নারী রয়েছে।
উল্লেখ্য শনিবার, ৫ আগস্ট রাত ৮টার দিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার রসকাঠি এলাকার তালতলা-গৌরগঞ্জ খালে বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের ট্রলারটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় মৃত আটজনের মধ্যে দু’জন নারী ও দু’টি শিশু রয়েছে।
সিরাজদিখান উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মারা যাওয়া আটজন হলেন, মোকছেদা বেগম (৪০), হ্যাপি আক্তার (২৮), পপি আক্তার (৩০), পপির দুই ছেলে সাকিবুল (১০), সজিবুল (৪)। হুমায়রা (৫ মাস), ফারিয়ান (৮) ও রাকিবুল (১২)। তাদের সবার বাড়ি সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দি ইউনিয়নে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত