বিভিন্ন স্থানে জাতির জনকের ৪৮ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন
নিউজ ডেস্ক।।
প্রকাশিত:
মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৩
২৩১
বার পড়া হয়েছে
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্টের কালোরাতে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে হত্যা করেছিল একদল বিপদগামী সেনা সদস্য। সেই থেকে দিনটি শোক দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। দিবসটি উপলক্ষে শোক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিন ও প্রশানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৪৮ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। আমাদের স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ:
আমাদের চিফ রিপোর্টার আশরাফুল ইসলাম তুষার জানান, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কিশোরগঞ্জে আলোচনাসভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার, ১৫ অগাস্ট সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ আলোচনাসভা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম বার,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুবেল মাহমুদ,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এটিএম ফরহাদ চৌধুরি,সিভিল সার্জন ডা: সাইফুল ইসলাম,জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান,জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এম এ আফজল,পৌর মেয়র মো. পারভেজ মিয়া,সাবেক সংরক্ষিত মহিলা এমপি দিলারা বেগম আছমা,জেলা আ.লীগের সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার কামাল প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত “আমার চোখে বঙ্গবন্ধু” শীর্ষক ভিডিও চিত্র প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ও শিশুদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়। জেলার সকল মসজিদ ও মাদ্রাসায় কোরআন খতম ও বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এ সময় কিশোরগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোস্তাক সরকার,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ডিএসবি) নূরে আলম সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ এবং প্রেস ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, কিশোরগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম বার। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে জাতির পিতাসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্টে শাহাদতবরণকারী সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাতের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
আমাদের ইটনা(কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি এম তাজুল ইসলাম জানান, কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলায় স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার, ১৫ অগাস্ট সূর্যোদয়ের সাথে সাথে উপজেলার সকল সরকারী আধা-সরকারী স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারী ভবন সমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। সকাল ৯টায় উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইটনা উপজেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীগণ জাতির পিতার ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে বঙ্গবন্ধুর জীবন ভিত্তিক তথ্য চিত্র ও ডকেমেন্টারি প্রদর্শন শেষে ইটনা উপজেলা পরিষদের হল রুমে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ইটনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধান এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা মিঠামইন, অষ্টগ্রাম) এর সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইটনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী কামরুল হাসান।
বক্তব্য রাখেন ইটনা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কিশোর কুমার দাস, ইটনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুল ইসলাম মোল্লা, ইটনা উপজেলা সমবায় অফিসার মাহফুযুল আমিন, ইটনা উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নজরুল ইসলাম ঠাকুর, ইটনা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেন প্রমূখ।
বক্তাগণ জাতীয় শোক দিবসে বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আলোচনা করেন। পরে চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইটনা উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন।
এদিকে করিমগঞ্জে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সকল শহীদের রূহের মাগফেরাত কামনায় বিকাল সাড়ে ৪ টায় গুনধর ইউনিয়ন আওয়ামী কার্যালয় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
গুনধর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আলতাফ হোসেন সরকার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আলহাজ্ব নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গুনধর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু ছায়েম ভূঁইয়া রাসেল,করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান চাঁন মিয়া,গুনধর ইউনিয়ন আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন খান,গুনধর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জিল্লুর রহমান নয়ন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক, গুনধর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুর রউফ ভূঁইয়া ।
আমাদের নান্দাইল(ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি জানান, ময়মনসিংহের নান্দাইলে ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষ্যে এক বিশাল শোক র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শোক র্যালিতে নেতৃত্ব দেন স্থানীয় দুই বারের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মো. আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন।
মঙ্গলবার, ১৫ অগাস্ট বিকাল ৫টায় উপজেলা সদর চন্ডিপাশা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে সমবেত হয়ে ১৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার দলীয় নেতাকর্মী, বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিগণ সহ হাজার হাজার সাধারণ নারী-পুরুষকে নিয়ে শোক র্যালিটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় চন্ডিপাশা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
পরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. হাসান মাহমুদ জুয়েলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মো. আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন।