কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আধুনিক মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত করতে মর্গের সামনে খোলা আকাশের নিচে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্বজনদের।
সরেজমিনে হাসপাতালের মর্গে গিয়ে দেখা যায় এ ব্যাপারে ডাক্তারদের উদাসীনতা গা-ছাড়া মনোভাব।
বুধবার, ১৫ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায় বালু ভর্তি ট্রলির চাপায় সুজয় (১০) সুইপার নামে একজনের মৃত্যু হলে ময়নাতদন্তের জন্য বিকাল ৪ টায় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আধুনিক মর্গে আনা হয়। পরে মরদেহ গ্রহণ না করে হাসপাতালের মর্গের সামনে খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখতে দেখা যায়। এজন্য চিকিৎসকের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন স্বজনেরা।
স্বজনরা জানান, বুধবার বিকাল ৪টার দিকে পুলিশ সুজয় এর মৃতদেহ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসে কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সুজয়ের মরদেহ গ্রহন না করে মর্গের সামনে খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, প্রতিবছর কিশোরগঞ্জ জেলাসহ পার্শ্ববর্তী নান্দাইল ও জিআরপি থানার প্রায় ৩২০ থেকে ৩৮০টি লাশের ময়নাতদন্ত হয়ে থাকে। সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে স্থাপিত আধুনিক মর্গে ৯টি লাশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিদিন ৩টি লাশ ময়নাতদন্ত করার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে একদমই উদাসীন।
এ বিষয়ে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. হেলাল উদ্দিন এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের বিষয়টা একান্তই কলেজ কর্তৃপক্ষের।আমাকে বলে লাভ নেই।