বাজারে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। বিক্রি বন্ধ হচ্ছে কি না তা দেখতে ১ আগস্ট থেকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে অভিযান চালানোর নির্দেশও দেওয়া হয়। কিন্তু সঠিক তদারকির অভাবে এখনো বাজারে বিক্রি হচ্ছে খোলা সয়াবিন তেল। তবে বিক্রেতারা বলেছেন, খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ করলে বিপাকে পড়বে নিম্ন আয়ের মানুষজন। তাই এই নির্দেশ আবার বিবেচনার অনুরোধ জানান তারা।
রবিবার (৬ আগস্ট) কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে মনোহারি পণ্যের দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, এখনো খোলা তেল বিক্রি চলছে। এক দোকানের বিক্রেতা বলেন, খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ থাকলেও এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। বন্ধ হলে তো আমরাই বন্ধ করে দেব। খোলা তেল বিক্রি বন্ধ করে দিলে আমাদের যেমন সমস্যা হবে, তেমনি গরিব মানুষেরও সমস্যা হবে। মাঝখান থেকে লাভ হবে বড় তেল কোম্পানিগুলোর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিক্রেতা বলেন, আমাদের কাছে নোটিশ এসেছে ১ আগস্টের পর থেকে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করলে জরিমানা করা হবে। কিন্তু এখনো জোরালভাবে এটা কার্যকর হয়নি। তাই আমরা এখনো বিক্রি করছি। আর সরকার যদি একেবারেই না দেয়, তাহলে তো আর আমরা বিক্রি করতে পারবো না।
বিক্রেতারা জানান, খোলা তেল বিক্রি বন্ধ করতে পারলে বড় বড় তেল কোম্পানিগুলো এই ব্যবসা আরো ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। নিজেদের চলার পথটা আরো মসৃণ হবে। তাই তারা এটা বন্ধ করার পাঁয়তারা করছে।
খোলা তেল ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, এখন যদি বাজারে খোলা তেল বিক্রি বন্ধ করে দেয়, তাহলে হয়তো কিছু দিন পর বড় ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে দেবে। নিয়ন্ত্রণ তাদের কাছেই থাকবে, আমাদের আর কিছু করার থাকবে না।
কিশোরগঞ্জ জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বণিক বলেন,বাজারে খোলা তেল বিক্রি বন্ধে আমাদের মনিটরিং চলছে।