কম্বল দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে খুলনার দৌলতপুরের বীনাপানি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে ছাদে ওঠায় বাড়িওয়ালা প্রীতম । পরে ধর্ষণের চেষ্টা চালালে চিৎকারের এক পর্যায়ে তার মাথায় ভারিবস্তু দিয়ে আঘাত করলে আট বছরের শিশুটি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এরপর ধর্ষণ শেষে বাড়ির ছাদের লাইলোনের দড়ি ও পায়ের জুতার ফিতা দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট সারোয়া আহমেদের আদালতে দুপুরে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় বীনাপানি ভবনের মালিক প্রীতম। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। দৌলতপুর থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে প্রীতম জানায় হত্যার পর বস্তায় ভরে শিশুর লাশ প্রথমে গ্যারাজে সিমেন্টের বস্তার পাশে ও পরবর্তীতে গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে বিউটি পার্লারের বাথরুমে লুকিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনার সাথে আর কেউ জড়িত নয় বলে সে স্বীকার করেছে।
গত ২২ জানুয়ারী দুপুরে খেলার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় তৃতীয় শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী অঙ্কিতা এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিলো। ২৮ জানুয়ারি শিশুটির বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের পর প্রিতম সহ আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করে। শুক্রবার রাতে প্রিতমকে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। আটক অপর সাত জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হবে বলে ওসি এমনটি জানান।