কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার করগাঁও বাজারে এক কসমেটিক্স ব্যবসায়ীর দোকানে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতের পর কোনো এক সময় ঘটনাটি ঘটে। ব্যাবসায়ী আমীর আলী সকালে ঘুম থেকে উঠে বিষয়টি বুঝতে পারেন।
মালিক ও স্থানীয়রা জানান, করগাঁও বাজারে মুক্তিযোদ্ধা অফিসের বিপরীত পাশে আমীর আলী নামে এক ব্যবসায়ী একটি ভাড়া দোকানে দীর্ঘদিন যাবৎ কসমেটিক ও কাপড়ের ব্যবসা করে আসছেন। কিন্তু আমীর আলীর ভিট মালিক ও একই বিল্ডিং এর করগাঁও আধুনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর মালিক স্থানীয় করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন নাদিম মোল্লার ছোট ভাই সুমন মোল্লার ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্ব বেশ পুরনো। কয়েকটি সামাজিক দরবারেও কোনো সুরাহার মেলেনি। মঙ্গলবার রাতে কসমেটিক্স ব্যাবসায়ী আমীর আলী প্রতিদিনের ন্যায় দোকান বন্ধ করে বাসায় যান। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে দোকান খুলতে এসে দেখে দোকানের সামনের দিকের শাটারগুলো ভিতর দিয়ে আটকানো এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পাশের শাটারগুলো খোলা। পরে ব্যবসায়ী আমীর তাৎক্ষণিক করগাঁও বাজার বণিক সমিতির সভাপতিসহ সবাইকে বিষয়টি অবগত করেন এবং সকলের উপস্থিততে দোকানের ভিতরের গিয়ে দেখতে পান তার দোকানের ড্রয়ারে রাখা নগদ ১ লাখ ৭০ হাজার টাকাসহ প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল কে-বা কারা লুট করে নিয়ে গেছে।
পরে ব্যবসায়ী আমীর আলী খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তার পাশের ব্যবসায়ী একই মার্কেটে সুমন মোল্লার আধুনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তার মালামাল রয়েছে।
বাজারের নৈশ্যপ্রহরী বলেন,ঘটনার দিন রাত ৩ টায় অভিযুক্ত সুমন মোল্লাকে রাস্তায় দেখতে পাই । তাই ব্যবসায়ী আমীর আলী নিশ্চিত করে বলেন মার্কেটের ক্লিনিক ব্যবসায়ী সুমন মোল্লাই তার দোকানের মালামাল ও টাকা পয়সা সরিয়েছেন। অপরদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্লিনিক ব্যাবসায়ী সুমন মোল্লা।
তিনি বলেন,আমাকে ফাঁসানোর জন্য ডাকাতির মত সম্পূর্ণ বানোয়াট একটি ঘটনা সাজিয়েছে তারা। আমি এর প্রতিকার চাই। মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে তারা। এ ঘটনার সুষ্টু তদন্ত করলেই মূল ঘটনা বেরিয়ে আসলে বলে জানান তিনি।
এদিকে সুমন মোল্লার ক্লিনিকের দোতলায় গিয়ে কসমেটিকস দোকানের অল্প কিছু মালামাল দেখতে পাওয়া যায়। সুমন মোল্লা দাবী করেন তাকে ফাঁসানোর জন্য কুচক্রী মহল এ নাটক সাজিয়ে মালামাল চুরি ও লুটপাট করে কিছু মালামাল তার ক্লিনিক এর দোতলায় রেখে গেছে।
করগাঁও ইউনিয়ন বাজার বণিক সমিতির সভাপতি শাহিদুর রহমান বাবুল বলেন, চুরিটা বাহিরের কেউ করে নাই। কাছের লোকই করেছে। এর সিম্পটম্প আমরা পেয়েছি। ক্লিনিকের গোডাউন ও উপরের তলায় এর আলামত রয়েছে। কসমেটিক্স দোকানের কিছু মালামাল সেখানে আমরা পেয়েছি।
ঘটনার দিন রাতে বাজার পাহারা দেয়া ২ জন পাহারাদার বলেন,আমরা মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর রাত ৩ টার দিকে ক্লিনিক ব্যবসায়ী সুমন মোল্লাকে রাস্তায় পেয়েছি।
এ বিষয়ে কটিয়াদি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহাদাত হোসেন বলেন,এটি কোন চুরি বা ডাকাতির ঘটনা নয়। ২ পক্ষের মধ্যে বিদ্যমান বিরোধের জেরে দোকানের মালামালগুলো কেউ সরিয়েছে। দুই পক্ষই জানে মালামাল কোথায় আছে। তাই তাদের স্থানীয়ভাবে বসে বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য বলা হয়েছে।